ছবি- সংগৃহীত
জাপানের রাজধানী টোকিওতে আয়োজন করা হয় ৭৮ তম হিরোশিমা দিবস উপলক্ষে এক বিশেষ আলোচনা সভার। উক্ত সভার আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা পরিষদ, জাপান শাখা।
টোকিও'র কিতা ওয়ার্ডস্থ আকাবানে বিভিও হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা শহরে আমেরিকার সেনাদের দ্বারা ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট পৃথিবীর বুকে মানবজাতির উপর নিক্ষেপ করা প্রথম পারমাণবিক বোমায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মূহুর্তটির স্মৃতিচারণ করেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী (হিবাকুশা) নাগরিক মি উয়েদা কওজি। সাথে ছিলেন যুদ্ধের বিপক্ষে এবং শান্তির পক্ষে কাজ করা একজন মানবতাবাদী মিস এমিকো সাকাকিবারা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সভাপতি, লেখক - সাংবাদিক পি আর প্ল্যাসিড।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হিরোশিমার উপর আধাঘন্টার একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর মিঃ উয়েদা কওজি তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। বক্তব্য শেষে উপস্থিতদের মধ্য থেকে বাংলাদেশী কয়েকজন এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করলে মিঃ উয়েদা কওজি তার উত্তর দেন। প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নেন খান মোহাম্মদ ইকবাল, এ জামান কিরণ, ইয়াগুচি সুমন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে আগতদের সবাইকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা শহরে বোমায় আঘাতপ্রাপ্ত ১৭ জন ভুক্তভোগীর বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখা প্রবন্ধ বাংলা ও জাপানি ভাষায় প্রকাশিত বই হিরোশিমা কথা বলে উপহার দেওয়া হয়। বইটি জাপান বাংলাদেশ এবং চিন থেকে প্রকাশিত হয়। যার সম্পাদনা করেন মিঃ উয়েদা কওজি ও পি আর প্ল্যাসিড।
অনুষ্ঠান চলাকালে যুদ্ধের বিপক্ষে মতামত জানাতে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।