ছবি:সংগৃহীত
সাংস্কৃতিক নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো চারদিনের নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা। মেলার ৩১তম এই আসরটি বসে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে। আর এবারই প্রথম উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে, জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারটি যেনো পরিণত হয় লেখক-প্রকাশক ও পাঠকদের মিলনমেলায়। সেই সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণ জমিয়ে রাখেন নিউইয়র্কের সংস্কৃতি প্রেমীরা।
রবিবার মেলার সমাপনী দিন প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্টল দেখেন। প্রকাশক, লেখক ও পাঠকদের সঙ্গে কথা বলেন। অংশ নেন বই আলোচনায়।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎসাহা জানান, মেলায় এবার বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সবমিলিয়ে ২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে মেলায় বেচাবিক্রিও ছিল প্রত্যাশা অনুযায়ী। তিনি আরও বলেন, এবারের মেলার বৈশিষ্ট্য খোলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হওয়া। যার কারণে মানুষের অংশগ্রহণে মেলা হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত।
চারদিনের এই বইমেলাটি শুরু হয় ২৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার। যার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র। এবারের বইমেলায়, মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ভাষা গবেষক, লেখক অধ্যাপক গোলাম মুরশিদ। এ পুরস্কারের অর্থমান ৩০০০ ইউএস ডলার।
২০১৬ সালে কবি নির্মলেন্দু গুণকে প্রদাণের মাধ্যমে এ পুরস্কারটি মুক্তধারা ফাউন্ডেশন প্রবর্তন করে। এরপর শামসুজ্জামান খান, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, দিলারা হাশেম, সেলিনা হোসেন ও সমরেশ মজুমদার এ পুরস্কারে ভূষিত হন। এদিকে দেশি কবিতা বইয়ের জন্য শহীদ কাদরী গ্রন্থ পুরস্কার পেয়েছেন কবি মুজিব ইরম। মেলায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ অন্য শিল্পীদের গান দর্শকদের জন্য গভীর আনন্দের খোড়াক জোগায়।