ছবি- সংগৃহীত
বুকের ভেতর খরাতপ্ত ধূসর
এক উজাড় ফসলি জমি !
মধ্যিখানে কাঁটাতারের বেড়া আর সাতপুরুষের ফসিল।
কাঁটার জঙধরা রক্তিম শিরায় বসে
স্পর্ধিত ভঙ্গিতে কৃষ্ণ কালো ইহুদি ফিঙে-
ধারালো-বাঁকা ঠোঁটে সাদা সাদা সময় গিলে খায়।
গলদা ফড়িং রুপোলি বিকেলের আস্ত পাউরুটি
পশ্চিমে ওড়ে ওড়ে ডানায় নিয়ে ঘুরে
মাংসাশী শকুনের ভিড়ে।
শীতল রক্ত নিয়ে উদ্বেলিত-দাহিত মোমের মতো
বুকের নরম জমিনে
লিকলিকে উরগের ছা
বাদামি কলিজায় ছোবল দিয়ে
আমার আস্ত একটা সোনালি সন্ধ্যা
সাবাড় করে অনায়াস।রাজহাঁসগুলো শ্বেত পালকে
জীবনের এলোমেলো আয়োজন নিয়ে ফেরে
উন্নিদ্র শ্মশানের আড়ালে।
মৃত্তিকার সুডোল স্তনে
পিঁপড়েরা হুল ফুটিয়ে আদিম সঙ্গমের স্বাদ নেয়
বিভৎস নেংটা সভ্যতার নীল জরায়ুর কুমারী শরীরে।
বৈষ্ণবী গোধূলি-বাদামি যুগল শালিক
হলুদ ঠোঁটে উচ্ছিষ্ট কিছু রোদ নিয়ে ঝরা পাতার
ডেরায় ফেরে।
কাঁচা বাঁশের চাতালে উদ্ভিন্নযৌবনা
গাঁয়ের সুষমা বধূ ; প্রেমহীন বিপন্ন কাব্যকলার শরীর
তাঁর শরমার্ত আঁচলে এক দঙ্গল কালো কালো
দাঁতাল ইঁদুর
ক্লান্ত ভীত- সন্ত্রস্ত বধূটির চোখের ভেতর
অনন্ত প্রহর গর্ত কুঁড়ে কুঁড়ে
মৃত্যুর মতো হারিয়ে যায় !