সম্পর্ক ভাঙ্গনের এর ইতিকথা
“জন্ম ,মৃত্যু ,বিয়ে
তিন বিধাতা নিয়ে”। প্রবাদ বাক্য
বিধাতা অর্থাৎ দেবাদিদেব মহাদেব, শ্রীবিষ্ণু ও প্রজাপতি ব্রহ্মা পুরাণ মতে।
সামাজিক সংস্কার রীতিনীতি মেনে একটি পূর্ণবয়স্ক যুবক (২১)ও যুবতী (১৮) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহ বিধিতে সামাজিক প্রথা ও নিয়ম অনুযায়ী বিবাহ সম্পন্ন হলে তাকে বৈধ হিসাবে গণ্য করা হয় এবং সপ্তপদী যে-সব বিবাহের একটি অঙ্গ, অগ্নি-সাক্ষী করে সপ্তপদী হয়ে যাবার পরেই বিবাহ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে ধরা হয় হিন্দু মেরেজ অ্যাক্ট ১৯৫৫ অনুযায়ী। মুসলিম সমাজে কাজী সাহেব কলমা পাঠ করিয়ে উভয় পক্ষের “কবুল হে” সম্মতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ে চার্চে প্রভু যীশুর সামনে, ফাদার বাইবেল কিছু অংশ পাঠ করে, পাত্র-পাত্রী আংটি বদলে বিবাহ সম্পন্ন হয়। যে কোন সম্প্রদায়ের বিবাহ যদি কোনও পক্ষের সন্মতি অসদ উপায়ে বা জোর করে নেওয়া হয় – তাহলে সেই বিবাহ অবৈধ ঘোষিত হতে পারে।
সমাজের মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি কন্যা ৩ দশক আগেও স্কুলের গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই বিবাহ দিয়ে দেয়া হতো । তাকে বাল্যবিবাহ বলা যায়। ২০০৬ সালে, চাইল্ড ম্যারেজ প্রটেকশন অ্যাক্টও প্রণয়ন করা হয় বাল্যবিবাহ রোধ করার জন্য। বর্তমানে যুগে নারী শিক্ষার উন্নতির সাথে সাথে চিন্তা ধারাও বদলেছে। বাবা-মা মেয়েকে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার জন্য উৎসাহ প্রদান করছেন। অনেকক্ষেত্রে মেয়েটির স্বাবলম্বী হওয়ার লড়াই করছেন কেউ কেউ স্বাবলম্বী হচ্ছেন। কিন্তু তারপরও নারী পরগাছা ভাবা হচ্ছে। একটি পুরুষ ছাড়া যেন নারীর জীবন সমৃদ্ধ বা সম্পূর্ন নয়, তেমনি পুরুষ ও নারী ছাড়া অসম্পূর্ণ। কেউ কেউ প্রথা ভেঙেছেন বা ভাঙছেন। বিবাহ যেন অসংবাদিত।
প্রায় প্রত্যেক বাবা-মায়ের ইচ্ছা নিজের কন্যাকে সুপাত্র করা বা নিজের পুত্রকে সু-পাত্রী খুঁজে বিবাহ দেওয়া। সু এর সংজ্ঞা বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকমের : পাত্র হলে উচ্চ আয় করেন এমন ব্যক্তি। যেমন সরকারি চাকুরিজীবী হলে অগ্রগণ্য। বনেদি সম্ভ্রান্ত পরিবার, সুপুরুষ ইত্যাদি । আর পাত্রী বিশেষণ এইরকম: সুন্দরী, শিক্ষিতা, স্লিম ,ফর্সা হলে অগ্রগণ্য । যেমনটা পাত্র-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে চোখে পড়ে খবরের কাগজে বা বিভিন্ন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের বিজ্ঞাপনে।
আধুনিক সমাজে মানুষ আত্মকেন্দ্রিক সুখ ও পরিবারকে নিয়ে ব্যস্ত জীবন। সময়ের বড্ড অভাব।আমার আমির গর্ব ,আমি পুরুষ /নারী উভয় ক্ষেত্রে অহংকারে যে সে সুন্দর/সুন্দরী,সুশ্রী ,শিক্ষিত, টাকা রোজগারের যন্ত্র। দামি গাড়ি বাড়ি ফ্ল্যাট ও একটি সুন্দরী স্ত্রী বা স্বামী ও আমার সংসার।বছরে এক-দুবার বিদেশ ভ্রমণ ব্যস এটাই আমার জীবন। স্বাধীন থাকার ধ্যান ধারনা বা এডজাস্টমেন্ট এর অভাবে ৫১বর্তী পরিবার ভেঙে শহরের সুউচ্চ আধুনিক ফ্ল্যাটের দু /তিন কামরা ঘরে বড্ড একা তিনটি মানুষ, স্বামী-স্ত্রী ও ছোট্ট একটি সন্তান। বাবা ,মা বৃদ্ধাশ্রমে বা কোন বিলাসবহুল হোমে। কর্মব্যস্ততায়, সময় ছোট হতে হতে যন্ত্রমানব বাড়ি ফেরে রাত্রে। কোন অভিসন্ধি বা স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে কিংবা কোনও অপরাধ প্রবণতাকে তৃপ্ত করতে গিয়ে যদি স্বামী, স্ত্রীর উপরে শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ভাবে অত্যাচার চালান বা কেউ যদি কোনও রকম যৌন হিংসার শিকার হন অথবা তাঁর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে কোনও অপরাধমূলক কাজে লাগানো হয়, তাহলে এই ধরনের অপরাধ প্রবণতাকে গার্হস্থ্য হিংসা বা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স হিসেবে গণ্য করা হয় Domestic Violence Act 2005 অনুসারে। ঘটনা কখনো চোখের সামনে আসে, কখনো আসে না।
ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স তিন ধরনের হতে পারে: ১) শারীরিক ২) মানসিক ৩) অর্থনৈতিক।
শারীরিক: বিবাহে শারীরিক চাহিদা থাকবেই। এ নিয়ে দ্বিমত নেই। মানুষের যেমন খিদে পায় তেমনি শরীরেরও একটা খিদে থাকে। আধুনিক হাইটেক যুগে বিবাহিত জীবনে শারীরিক চাহিদা প্রথম প্রথম প্রবল থাকলেও কিছু বছর পর তা ফ্যাকাশে বা একঘেয়েমি আসে।তখন সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। বিশেষত একটি সন্তান জন্মের পর। পুরুষ বা নারীর এক্ষেত্রে মনের সুপ্ত বাসনার চরিতার্থে তৃতীয় বা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যদি সেটা গোপন থাকে তাহলে কোন সমস্যা হয় না কিন্তু যদি সেটা প্রকাশ্যে চলে আসে কোন ভাবে, তখনই সম্পর্কের ভাঙ্গন শুরু হয়।
মানসিক:
গ্রহণযোগ্যতায় স্বামী-স্ত্রী যেহেতু দুটি ভিন্ন মানুষ তাঁদের স্বভাব ও চরিত্রের পার্থক্য থাকবেই। এতে দ্বিমত নেই। দম্পতিরা একে অপরের সঙ্গে পছন্দের মিল খুঁজে পান না। একে অপরকে রাতারাতি পরিবর্তনের চেষ্টায় পীড়াপীড়ি করেন অনেক সময়। সমস্যা শুরু হয় সেখানেই। এতে একজন আরেকজনের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেন। আত্মকেন্দ্রিক সুখ ও নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায়। জীবনের সুখ দুঃখ বিপরীত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পাশে থাকার মানসিকতার বড্ড অভাব দেখা দেয়। একের প্রতি অপরের অভিযোগের পাহাড় জমে ওঠে। সঙ্গে অবিশ্বাস ও সন্দেহ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আর এখানে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। সংসার তে একসাথে থাকার অঙ্গীকার এটা ভুলতে শুরু করে । আর এখানেই দাম্পত্য জীবনে কলহ গার্হস্থ্য অশান্তির সূচনা হয়।
অর্থনৈতিক: কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় সাংসারিক অশান্তিতে পণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিবাহের পরও শশুর বাড়ির পক্ষ থেকে বাপের বাড়িতে আরো পণের দাবি করা হয়। যদি পাত্রীর বাবার স্বচ্ছল অবস্থা হয়, যদি তিনি মনে করেন মেয়ের সুখেই তার সুখ, সে ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রতিবাদ না করে মেনে নেন। আর যার সামর্থ্য নেই তিনি হয়তো ঋণ করে মেয়ের শ্বশুর-বাড়ির অন্যায় দাবি পূরণের চেষ্টা করেন বা মেয়েকে অদৃষ্টের হাতে ছেড়ে দেন। যদি মেয়ের কপালে সুখ থাকে এমনিই সুখী হবে এই ভেবে।
দাম্পত্য কলহে “ডিভোর্স বা বিবাহ বিচ্ছেদ “এর সূচনা হয়। বিবাহ , পুরুষ ও নারী কে সাংসারিক জীবনের আলোর পথে নিয়ে যায় আবার কখনো তা অন্ধকারেও পর্যবসিত হয় ঘটনার প্রকারভেদ উপর নির্ভর করে। সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে তথ্য অনুযায়ী দেশের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ শতকরা ৭% ও বিদেশে বিশেষত আমেরিকায় বিবাহিতদের তিন বছরের মধ্যে বিচ্ছেদের সংখ্যার হার বর্তমানে শতকরা ৫০% শতাংশ বা তার বেশী ।
বিবাহের বিচ্ছেদের কারণগুলি পর্যালোচনা এইভাবে করতে পারি:
আদান- প্রদান: কথাবার্তার আদান-প্রদানের সম্পর্কের ভিত্তি। দিনের কিছু সময় খোলা মনে তার সাথে গল্প করুন। আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কথা সময় দিয়ে শুনুন বা শোনার অভ্যাস করুন । শুধু আপনার বক্তব্যই রাখবেন তার কথায় মনোযোগ বা গুরুত্ব দেবেন না। তাহলে আপনার কথার গুরুত্ব থাকবে না বা তিনি আপনাকে এড়িয়ে চলবেন। সাধারণ মানুষ নিজের মনে কিছু নিজস্ব ধ্যান ধারণার সৃষ্টি করেন। নিজস্ব ধ্যান ধারণা সবক্ষেত্রে ঠিক তাও নয়। একতরফা অভিযোগ বা সমালোচনা সম্পর্কের তিক্ততার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে নিজেকে পরিবর্তন করাই শ্রেয়। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কোন কিছু অপছন্দ হলে তাঁকে বুঝিয়ে বললে তিনি অনন্ত চেষ্টা করবেন এটা আশাকরা যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তা হয় না ।
ঘনিষ্ঠতা
সহানুভূতিশীল: আধুনিক জীবন অত্যন্ত গতিশীল। সময়ের বড় অভাব। কর্মব্যস্ত জীবন থেকে সময় বের করে সংসারে বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক সময় দেওয়া খুব একটা হয় না। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কোন কারনে মন খারাপ হলে তার সুখ দুঃখের সাথী হয়ে পাশে থাকুন। তাঁর মন ভালো রাখার উপায় খুঁজে বের করুন। অনন্ত এটা চেষ্টা করা উচিৎ যে আপনি তার পাশে আছেন এই ভরসা, সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস আনবে। নাহলে সম্পর্কের ভাঙন অবশ্যম্ভাবী।
সহমর্মিতা
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই দেখা যায় পরস্পরের প্রতি অমনোযোগ । একটি সন্তান জন্মের পর লক্ষ রাখার প্রবণতার পরিমাণ কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে তখন একজন মা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। স্বামীর প্রতি তার দায়িত্ব বা কর্তব্য পালন করলেও সারা দিনের অনেকটা সময় শিশুকে দেন। অনেক সময় দেখা যায় নিজেদের মধ্যে সময় কাটানো সময়টা কমে গেছে। অপরদিকে অন্য মানুষটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম,হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের হাতছানিতে মত্ত। নিজিকে একাকিত্বের দিকে নিয়ে যায় ধীরে ধীরে। একাকীত্ব ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি করে সম্পর্কের।
পরস্পরের প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রবণতা কমতে থাকে ধীরে ধীরে।
আর্থিক সম্পর্ক
জীবনে চলার পথে অর্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সাধারণত পুরুষের রোজগার সংসারের আয়ের উৎস। সে ব্যবসার চাকরি যাই হোক না কেন। সংসারে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হলে সমস্যা।স্ত্রী যদি আয় করেন অনেক সময় সেক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি। কারণ তখন তিনি আত্মনির্ভর হন। একটি সংসারে যদি স্বামী-স্ত্রীর দুজনেই আয় করেন, অনেক ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়, কে বেশি আয় করেন। এই প্রতিযোগিতা অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভাঙনের সূচক হিসেবে কাজ করে।
ক্ষমাহীনতা
পারস্পারিক ভালোবাসার সহজ সম্পর্কে ক্ষমাশীলতার অবস্থান হয় সহজ। ভুলের জন্য পাছে মর্যাদা কমে যায় এই আশঙ্কায় সঙ্গীর কাছে ক্ষমা না চাওয়া এবং ছোট ছোট অপরাধেও সঙ্গীকে ক্ষমা করতে না পারার ফলে বরং দাম্পত্য সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আধুনিক সময়ে ক্ষমাহীনতার এই অভ্যাস স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের একটি বড় কারণ।
প্রশংসার অভাব
যখন পারস্পারিক প্রশংসার হার কমে যায়, তখন পরস্পরের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পায়। প্রশংসার অভাব বৈবাহিক সম্পর্কে পারস্পারিক অবিশ্বাসের সৃষ্টি করে। কিন্তু যখন দুইজন মানুষ তাদের পারস্পারিক কাজের ১০০% মূল্যয়ন করবে এবং উত্তম কাজের জন্য সঙ্গীর প্রশংসা করবে, তখন তাদের মধ্যে সংঘাতের সম্ভাবনা খুব কমই থাকবে এবং তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
আবেগগত সম্পর্ক
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রসরতার ফলে ভার্চুয়াল জগতে বিভিন্ন প্রকার ভার্চুয়াল সম্পর্কে মানুষ জড়িয়ে পড়ছে। এসকল সম্পর্কে অনেকসময় মানুষ তার সঙ্গীর থেকে অধিক ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। এরফলে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পারিক সম্পর্ক বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে ধাবিত হচ্ছে।এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়ানো যেতে পারে, যদি ব্যক্তি তার অনুভূতির কথা তার শুভাকাঙ্ক্ষী কারো কাছে শেয়ার করতে পারে এবং তার কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে অনাকাঙ্ক্ষিত আবেগ থেকে মুক্ত করতে পারে।
ক্ষমতার দ্বন্দ্ব
বিবাহিত দম্পতির মধ্যে পারস্পারিক ক্ষমতার দ্বন্দ্বের ফলেও তাদের সম্পর্ক বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে ধাবিত হয়। একজন অপরজনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চাওয়া এবং সঙ্গীকে নিজের মত করে চালাতে চাওয়ার ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
যদি নিজেদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্কের তুলনায় নিজের মতকে প্রতিষ্ঠা করার গুরুত্ব অধিক হয়, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক আর স্থায়ী হয় না এবং কারো মত যদিও প্রতিষ্ঠিত হয়, সেখানে আর ভালোবাসা থাকে না।
আধুনিক হাইটেক যুগে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ,স্বার্থপরতা, লোভ ,না পাওয়ার ইচ্ছা , কামনা-বাসনার বশবর্তি হয়ে উৎকণ্ঠা, হতাশা ও বিভ্রান্তের ন্যায় বাঁচতে শিখছে। পরনিন্দা-পরচর্চা পরকীয়ায় মেতেছে মানুষ আবেগ বিবেক বিসর্জনে।
আধুনিক সমাজ জীবনে মানুষ দরজায় কাচের লেন্স লাগিয়ে পরখ করে নেয় দরজার বাইরে কে আছেন, কলিং বেলের আওয়াজে। বিশ্বাস আজ প্রশ্ন চিহ্নে !
সমাজের উন্নতি অবনতি নিয়ে মাথাব্যাথা আছে এরকম ব্যক্তি বর্গ খুব একটা চোখে পড়ে না। বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ সমালোচনা করেন খবরের কাগজ পড়ার সময়ে, চায়ের দোকানে বা আডডার ঠেকে।
আলোচনা সদর্থক হোক।
সবশেষে বলতে গেলে সম্পর্কে থাকুন, বিশ্বাস রাখুন ,সম্পর্কে বাঁচুন…