রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ভাদ্র ২৩ ১৪৩১

মেদ কমাতে যে ভুলগুলো করবেন না

নাসরীন রোজী

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

মেদ কমাতে যে ভুলগুলো করবেন না

ছবি:সংগৃহীত

অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পেটে মেদ জমে যাওয়া সবচেয়ে পরিচিত সমস্যা। যদিও পুরুষ এবং নারী উভয়েই পেটে মেদ জমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে পারে, তবে পুরুষের ক্ষেত্রে এর প্রবণতা বেশি। নারীর ক্ষেত্রে মেদ সাধারণত নিতম্ব এলাকায় জমা হয়। পুরুষের ক্ষেত্রে এটি সবসময় পেটেই জমা হয়। পেটে যে ধরনের মেদ জমে তা শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি বিপজ্জনক। এই ধরনের মেদ ভিসারাল ফ্যাট নামেও পরিচিত, যা হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। পেটের মেদ ঝরানো মোটেও সহজ নয়। আপনি সচেতন না হন তবে এটি আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে। পেটের মেদ কমানোর সময় বেশিরভাগ মানুষই সাধারণত কিছু ভুল করে থাকেন। আপনি যদি পেটের মেদ কমাতে চান তবে এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন-

জীবনযাপনে বদ অভ্যাস
ওজন বৃদ্ধি শুধুমাত্র অতিরিক্ত খাওয়া বা শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার ফল নয়। এই দুটি অপরিহার্য কারণ, কিন্তু জীবনযাপনের অন্যান্য কারণও সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধূমপান, অত্যধিক অ্যালকোহল গ্রহণ এবং কম ঘুমও পেটের মেদ জমতে সাহায্য করে। এমনকি মানসিক চাপও এক্ষেত্রে হতে পারে অন্যতম কারণ। যথেষ্ট নড়াচড়া না করা কার্যকরভাবে এবং সহজে ওজন কমাতে দিনে কেবল একবার কাজ করা যথেষ্ট নয়। আপনাকে সারাদিন সক্রিয় থাকতে হবে। আপনি যত বেশি সক্রিয় হবেন, তত দ্রুত কাঙ্খিত ওজনে পৌঁছাতে পারবেন। যদি অফিসে বসে কাজ করতে হয় তবে কিছুক্ষণ পরপর উঠেহাঁটাচলা করুন। একটানা দীর্ঘ সময়বসে থাকার ফলে পেটে পেটে জমতে পারে।

নিজেকে ক্ষুধার্ত রাখা
ওজন কমানোর জন্য ক্ষুধার্ত থাকাই হলো সবচেয়ে বড় ভুল যা মানুষ ওজন কমানোর জন্য করে থাকে। ক্ষুধার্ত থাকলে তা পুষ্টির ঘাটতি এবং দুর্বলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।এছাড়া এটি ভিসারাল ফ্যাট জমার কারণ হতে পারে। এর কারণ যখন শরীর কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত পুষ্টি না পায়, তখন এটি চর্বি ধরে রাখে। এতে আপনার পক্ষে তা ঝরানো কঠিন হয়ে যায়। আদর্শ উপায় হলো সময়মতো এবং সঠিক পরিমাণে খাওয়া।ওজন কমানোই লক্ষ্য আপনি চাইলেই কাঙ্খিত ওজনে পৌঁছে যেতে পারবেন না। যখন সঠিকভাবে খাবার খাবেন এবং ব্যায়াম করেন, তখন শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে ওজন কমতে শুরু করবে। কোন অংশ থেকে প্রথমে আপনার ওজন কমবে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তা বলা মুশকিল।এমনকি যদি আপনি শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশের ওজন কমানোর লক্ষ্যে ব্যায়াম শুরু করেন, তবে প্রথমেই সেখান থেকে ওজন
কমার সম্ভাবনা কম।

পর্যাপ্ত পানি পান করা
ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার ভয় থাকে। পর্যাপ্ত পানি এবং অন্যান্য তরল পান করলে তা আপনার ক্যালোরি গ্রহণকে সীমিত করবে এবং পেটে অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধা দেবে।