নীল টিপ উড়ে যায় নীলাচলে
'নীল টিপ উড়ে যায় নীলাচলে' কাব্যগ্রন্থটি যৌথভাবে লিখেছেন মুরশাদ সুবহানী ও মিতা মজুমদার ।দুই কবি পরস্পর স্বামী-স্ত্রী। তারা নীরবে নিভৃতে দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখির সাথে জড়িত। অনেকটা ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিং ও কবি এলিজাবেথ ব্যারেটের মতো। দু’ জনই ব্যস্ত জীবন পার করে এসেছেন। একজন সাংবাদিকতা, আইন পেশা আর একজন সেবার মহান পেশায়। এখন আটলান্টিকের ওপারে পারি জমিয়েছেন। মিতা আমার বাল্যসহচারী। বালিকাবেলা থেকেই তিনি সাহত্যানুরাগী। স্কুল-কলেজের গণ্ডি থেকেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি। আর সুবহানীর পদচারণা খবর-কাগজের পাতায় পাতায়। লেখার হাতও তার পক্ত।
'নীল টিপ উড়ে যায় নীলাচল' কাব্যে দু জনের ২৯টি করে মোট ৫৮টি কবিতা আছে। প্রেম ও বিরহের কবিতাই প্রাধান্য পেয়েছে। আছে সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না,
রোমান্টিক কল্পনা। কবিতা বাস্তব ,রোমান্টিক আর কল্পনা।রোমান্টিক যুগের কবি স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ কল্পনাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন, ‘মানুষের মন জগতের ঐশ্বরিক সৃষ্টির অস্থায়ী প্রতিলিপি হিসেবে।’’
পাওয়া, না-পাওয়া যাপিত জীবনের আখ্যান আছে ‘নীল টিপ উড়ে যায় নীলাচলে’ কাব্য বইয়ে। কবিতাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বেঁধে ফেলার পক্ষে আমি নই। রস, রসায়ন এবং চিত্রকল্প কবিতার প্রাণ। এই কাব্যের কবিতায় প্রাণ আছে। আছে রস ও রসায়ন। চিত্রকল্পও খুঁজে পাওয়া যায়। প্রকৃত কবিতা তো সেটাই যেটা বারবার পড়তে ইচ্ছে করে আর পড়ার পরও আবেশ থেকে যায়। ‘নীল টিপ উড়ে যায় নীলাচলে’ এমন কবিতাও অনেক আছে। প্রতিদিন কাব্যিক মনের মানুষ লিখছেন, কবিতার লম্বা মিছিলে টিকে থাকতে কবিদ্বয় ছুঁয়ে যেতে চেয়েছেন, জীবনের গহীনকে। সেই যোগ্যতা উভয়ের বিদ্যমান। তাদের জন্য শুভ কামনা নিরন্তর।
বইটি ২০২২ অমর একুশে বই মেলাকে সামনে রেখে প্রকাশিত হয়। বই টির মোড়ক উন্মোচন করেছেন, স্বনামখ্যাত কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, সাপ্তাহিক রোববারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক, কবি,সাংবাদিক ,প্রাবন্ধিক আহমেদ জহুর।
প্রচ্ছদ করেছেন, বিশিষ্ট অংকন শিল্পী ইকবাল হোসেন সানু। উন্নতমানের কাগজ, ছাপা, লেমেনেটিং, এবং বাঁধাইকৃত এ বইটির প্রকাশক দেওয়ান মাসুদা সুলতানা, মা সেরা প্রকাশন,ঢাকা। মূল্য ১৫০ টাকা।