শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, পৌষ ৭ ১৪৩১

এক রঙা অক্ষরে লেখা ছুঁয়ে দেখো স্পর্শতা

আশ্রাফ বাবু

প্রকাশিত: ২১:০৪, ১৩ এপ্রিল ২০২২

এক রঙা অক্ষরে লেখা ছুঁয়ে দেখো স্পর্শতা

এক রঙা অক্ষরে লেখা ছুঁয়ে দেখো স্পর্শতা


প্রথমে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এসকে আব্দুর রউফ হিটুকে যার কষ্টে, মেধায়,শিল্প সাহিত্যের ভালোবাসায় একটি একটি করে জন্ম নেওয়া কবিতায় হয়ে উঠেছে কাব্যগ্রন্থ’ ছুঁয়ে দেখো স্পর্শতা’।বাঙালি হিসেবে আমরা বেড়ে ওঠি বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে দিয়ে। শৈশব থেকে শুরু করে শেষ জীবন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম এর মধ্য দিয়ে আমাদের জ্ঞান লাভ করতে হয়। সেক্ষেত্রে বই থেকে বেশির ভাগই আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন তথ্য আহরণ করছি। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় তথ্যসমৃদ্ধ লেখা সবসময় হাতের কাছে পাওয়া বা সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু আজ একান্তই ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে একটি বই সম্পর্কে মন্তব্য করছি। ছুঁয়ে দেখো স্পর্শতা হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখলাম খুব ভালো লেগেছে তার সুন্দর প্রচ্ছদ ঝরঝরে কাগজ আমাকে মুগ্ধ করেছে। বইটি প্রকাশিত হয়েছে  অভিযান প্রকাশনী থেকে, প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর।

কবিতার ক্ষেত্রে আমি যে কাজটি করি বই হাতে পাওয়ার সাথে সাথে সব কবিতা পড়ে শেষ করে তবেই বইটি তুলে রাখি। ছুঁয়ে দেখো স্পর্শতার ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি আজ।

সমসাময়িক ও বৈচত্র্যময় বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে প্রতিটি কবিতার গল্প তৈরি হয়েছে।দৈনন্দিন জীবনযাপন,প্রেম,জীবন দর্শন,মানসিক সংকট,দেশ ও সমাজের চাওয়া পাওয়া হতাশ,রাগ ক্ষোভ,দয়া মায়া,আবেগ অনুভুতি, স্বপ্ন- ও তা ভঙ্গের কথা কবি তার ছুঁয়ে দেখো স্পর্শতা গ্রন্থে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।অনেক ক্ষেত্রে অন্তিম বয়সের নিঃসঙ্গতা, বিপর্যস্ততার কথা যেমন এসেছে তেমনি এসেছে এই সময়ের সামাজিক,মানসিক চরম অস্থিরতার কথা।ক্ষত চিহ্ন বয়ে নেওয়া মানুষের কথাও আছে স্মৃতি রেখায়।প্রতিটি কবিতা নিয়ে আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা করা আমার জন্য খুব কঠিন ব্যাপার তার পরেও কিছুটা তুলে ধরলাম।এক প্রকার সমান তালে ধরে রাখার চেষ্টা আছে কবিতার গল্পগুলো।আমি মুগ্ধ, স্বাদের রেশ ধরে থাকবে আমাকে অনেকদিন।আমি আশা করবো পাঠকরা অধিক গ্রহণযোগ্য ভাবে ভালোবাসবে ছুঁয়ে দেখো স্পর্শতাকে।বইটির মর্ম উদ্ধার করতে পেরেছি কিনা জানিনা কবিই তা বুঝবেন।

কবির ভালোবাসার ফ্ল্যাপ তুলে ধরলামঃআমাদের জীবনের প্রায় সব কিছুই ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে যায়।শৈশব খেলার সাথী,তারুণ্যের সতীর্থ,কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা সেই মেয়েটি,সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ,সবুজ বন,উঁচু নীলাদ্রি,অন্তরীক্ষ আচ্ছাদিতো নক্ষত্র, পূর্ণিমার চাঁদ,শ্লোগানে- শ্লোগানে রাজপথ কাঁপানো উচ্ছ্বসিত যুবক সবই আমাদের মন ছুঁয়ে চলে যায়!চলে যায় গভীর ভালোবাসায় আদৃত মানুষগুলো! মানুষের জীবনে আনন্দে আবৃত মুহূর্তগুলো খুবই ক্ষণস্থায়ী।

হৃদয়ে ছুঁয়ে  যাওয়া কিছু কিছু রক্তক্ষরণ আমরণ বয়তে হয়,যা থাকে চির অম্লান,থাকে শুধু গভীর স্পর্শতা..।
বইটি পাঠ করে অনেক নতুন কিছু জানা যাবে আমার আশাবাদ।চুপ হয়ে থাকতে হয় মুগ্ধতায়।তার কাব্যভাষা ইন্দ্রজালিক,কবিতার উপমা উৎপ্রেক্ষা অভিনব,জীবনমুখী, প্রেমময় ও সুখ পাঠ্য।

আমি আশাবাদ শব্দের বুননের জন্য কবি আপনি রয়ে যাবেন পাঠকের কাছে চিরকাল।ছুঁয়ে দেখো স্পর্শতার জনক আপনার কাছে পাবো আরও মনোবল।