শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, পৌষ ৭ ১৪৩১

সেখ নুরুল হুদা একজন বিশিষ্ট কবি ও লেখক

রীতা আক্তার

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ২৬ মে ২০২৩

সেখ নুরুল হুদা একজন বিশিষ্ট কবি ও লেখক

সেখ নুরুল হুদা একজন বিশিষ্ট কবি ও লেখক

সেখ নুরুল হুদা একজন বিশিষ্ট কবি ও লেখক। ইতিমধ্যে তাঁর বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে কবিতা ও প্রবন্ধে বই।

কবি সেখ নুরুল হুদার জন্ম ১১ জুন ১৯৭০ স্কুল রেজিস্টার অনুযায়ী। পিতা মরহুম সেখ ইসলাম আলি। একজন আলেম মানুষ। মাতা রহিমা খাতুন। পৈতৃক বাড়ি হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া থানার শ্রীরামপুর গ্রামের পীরতলায়। এখানেই তিনি বসবাস করেন।

তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু পাশের গ্রামে। বামুনহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে উলুবেড়িয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং গ্র্যাজুয়েট হন। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ (জার্নালিজম) পড়ার সুযোগ পেয়েও তিনি এম এ (বাংলা) পড়েন।

কবি সেখ নুরুল হুদা এক সময় বলিষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে যথেষ্ট সুপরিচিত ছিলেন। সেই সঙ্গে হাওড়া জেলা প্রেস ক্লাবের অ্যাসিস্টেন্ড সেক্রেটারিও ছিলেন। বহু সংস্থায় সাংবাদিকতা ও শিক্ষকতার কাজ করে বর্তমানে তিনি রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মচারী।

কবি সেখ নুরুল হুদা প্রথমত কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে লেখক জগতে প্রবেশ করলেও বেশ কয়েকটি লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে যথেষ্ট দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। সেই ১৯৮৮ সালে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত কবিতা থেকে আজও অব্দি তিনি লিখে চলেছেন। কখনও কবিতা, কখনও রিপোর্টিং, কখনও প্রবন্ধ, কখনও অল্প-সল্প গল্প, কখনও উপন্যাস লেখার চেষ্টায় রত। এক দিগন্ত থেকে অন্য দিগন্তে অবাধে বিচরণ করছেন। মূলত তিনি কবিতা বেশি লিখলেও কিন্তু সাহিত্যের অন্য শাখাও তাঁর লেখনীতে উজ্জ্বল। এ পর্যন্ত ছোট-বড়ো পত্রিকা মিলিয়ে তাঁর প্রায় দুশোর ওপর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর কবিতার এবং জীবনের মূল সুর 'ভালোবাসা'। সেইসঙ্গে মিলে-মিশে থাকার সম্প্রীতির আহ্বান।

কবি সেখ নুরুল হুদা বহু প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন এবং জড়িয়েও রয়েছেন। এছাড়া তিনি হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এবং বর্তমানেও সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। এসবের তালিকাও দীর্ঘ। আর এ কারণেই কবি সেখ নুরুল হুদা সাংবাদিকতা, সাহিত্যচর্চা ও সমাজসেবার জন্য স্বীকৃতি স্বরূপ বহু প্রাতিষ্ঠানিক সংবর্ধনা ও সম্মাননা পেয়েছেন।