শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, পৌষ ৭ ১৪৩১

হামাস মেনে নিলে ইসরায়েল ও বাইডেনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেবে

বিবেকবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:২৪, ৩ জুন ২০২৪

হামাস মেনে নিলে ইসরায়েল ও বাইডেনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেবে

ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাব মেনে নিতে মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল এবং হামাসকে যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে রাজি হওয়ার এবং জিম্মি মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে সোমবার রাতভর রাফায় নতুন করে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহতএবং অনেকে আহত হয়েছে। শুক্রবার একটি যুদ্ধ বিরতির খসড়া প্রস্তাবটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজে এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউস সূত্র জানিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার একটি দীঘর্ মেয়াদি যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র মত দিয়েছে  হামাস এই প্রস্তাবে উল্লেখিত শর্তগুলো মেনে নিলে ইসরায়েলও তা মেনে নিতে পারে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এবিসি নিউজ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে বাইডেনের প্রস্তাবটি ইসরায়েলের অনুকূলে। যার ফলে ইসরায়েলের এই প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি থাকার কথা নয়। যদিও ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রস্তাবের কয়েকটি শর্ত নিয়ে তাদের আপত্তি আছে। কিন্তু হোয়াইট হাউস মনে করছে, হামাস এই শর্ত মেনে নিলে ইসরায়েলও তাতে সম্মত হবে।’

এর আগে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে গত নভেম্বর মাসে সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল ইসরায়েল ও হামাস। সে সময় বেশ কিছু বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। পরিবর্তে ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছিল দেশটির কারাগারে আটক থাকা বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে। এরপর বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও তা সার্থক হয়নি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখ-ে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এএফপি’র সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই হামলায় এক হাজার ১৮৯ জন নিহত হন। একইসঙ্গে ২৫২ জনকে জিম্মি করে হামাস। জিম্মিদের মধ্যে ১২১ জন এখনো গাজায় আছেন। ইসরায়েলের দাবি ৩৭ জিম্মি নিহত হয়েছেন।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৬ হাজার ৪৩৯ ছাড়িয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।